পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

রাজ্য সরকার যোগ্য প্রার্থীদের তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন প্রথম থেকেই। এখনও যখন এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তখন সে যাচ্ছে পুরো রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। ‘অযোগ্যদের চাকরি যাক, কিন্তু যোগ্যদের চাকরি যেতে দেব না’, এই কথা তার স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত ছিল। এমতাবস্থায় যোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে, ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা উচিত বলে মনে হয়। ঠগ বাছতে গাঁ উজার যেমন ঠিক নয়, তেমনি দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টাও কোনও কাজের কথা নয়।

Read more


২০১৬ সালের এস এস সি নিয়োগে শাসক দলের ওপর তলা থেকে নীচের তলার নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রুপ সি, ডি নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ এর সমস্ত নিয়োগই এক কলমের খোঁচায় পুরো বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এখন এসএসসির ২৫০০০ শিক্ষক বাতিলের সুপ্রীম কোর্টের রায়ের পরে আবার দুর্নীতি ইস্যু সামনে এসেছে। এই ইস্যুতে সরকার পরে গিয়ে তো আর নতুন বাম সরকার হবে না, হবে বিজেপির সরকার। আর বিজেপি এলে সরকারি স্কুলগুলো উঠে গিয়ে সেখানে আদানি, আম্বানি দের মত বড় বড় কর্পোরেট দের নামী স্কুল খোলার পথই প্রশস্ত হবে। সেই জন্যেই কি এই ধরনের অমানবিক রায়?

Read more


শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে শাসকদল তৃণমূল, তাদের নেতৃত্ব, মায় মন্ত্রীসভা বিপুল দুর্নীতি করেছে, যা তৃণমূলের স্বভাবসিদ্ধ, এবং ধরা পড়ে যাওয়াতে সেই দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার অপরিসীম কিন্তু অপরিণত চেষ্টা করেছে।কিন্তু তা বলে সুপ্রীম কোর্টকে ছাড় দেওয়া যায়? তাঁরা কি এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংবিধানের কথা মাথায় রেখেছে? যোগ্য শিক্ষকরা কিন্তু তৃণমূলের দুর্নীতি এবং সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এখনও আন্দোলনে আছেন এবং যতদিন না দাবি আদায় হয়, রাস্তায় থাকবেন।

Read more


বহু মানুষ বহু কথা বলছেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের ডেকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিচ্ছেন, কিন্তু অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া একজন মানুষের জীবন সেই সব কথা শুনতে নারাজ। তাঁদের দাবি, তাঁদের ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আন্দোলন করতে গিয়ে জুটছে পুলিশের লাথি, লাঠি। সদ্য চাকরি হারা এক শিক্ষিকার আখ্যান থাকলো আপনাদের সামনে। কী করা উচিৎ, ভাবুন। এই মানুষদের হয়ে কথা না বলে শুধু রাজনীতি আপনি করতেই পারেন, কিন্তু তাতে কি খুব কিছু লাভ হবে?

Read more